সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

নাটোরে স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২
  • ৯৯ সময় দর্শন
নাটোরে স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান কৃষকরা

নাটোর জেলায় বিদেশী সবজি স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন আব্দুল লতিফ সুইট নামের এক কৃষক।

সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামে নিজস্ব ২৫ শতাংশ জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে মাত্র তিন মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকা লাভ করেছেন। যা অন্য যে কোন সবজি চাষের থেকে অনেক বেশী লাভজনক। আব্দুল লতিফ সুইট জানান, তিনি গত ডিসেম্বর মাসে পলিথিনে বীজ বপন করে তাতে চারা গজিয়ে নেন।

 

চারা তিন ইঞ্চি পরিমাণ হলে তা জমিতে রোপণ করেন। বীজ বপন, পলিব্যাগ তৈরী, জমি চাষ, জমিতে চারা রোপণ, সার কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ তাঁর সর্বমোট খরচ হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা।

মাত্র তিন মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে স্কোয়াশ উত্তোলন করতে শুরু করেন। তাঁর ঐ জমিতে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২ শত মণেরও বেশী স্কোয়াশ উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাজারে বিক্রি করেছেন ১৮০ মণ স্কোয়াশ। বাজার মূল্য সর্বনিম্ন প্রতি মণ ৬ শত টাকা হিসেবে প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন।

 

খরচ বাদ দিয়ে এ জমি থেকে তিনি নীট লাভ করেছেন প্রায় ৯৩ হাজার টাকা।

এছাড়াও জমিতে দেখতে আসা মানুষ, প্রতিবেশী এবং আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ মণ স্কোয়াশ খাওয়ার জন্য বিনামমূল্যে বিতরণ করেছেন যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা, তিনি জানান তাঁর এ জমিতে এর আগে সাধারণত এ সময় আলু চাষ করতেন। এ জমিতে আলু উৎপাদিত সর্বোচ্চ ৫০ মণ। বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতিমণ আলু ৬০০ টাকা হিসেবে বিক্রি মূল্য আসতো ৩০ হাজার টাকা। অপর দিকে আলুর উৎপাদন খরচ স্কোয়াশের থেকে অনেক বেশী হতো। ফলে খুব বেশী লাভ হতোনা। কিন্তু স্কোয়াশ চাষে তাঁর বেশী লাভ হয়েছে।

 

স্কোয়াশ চাষে তাঁর অভাবনীয় সাফল্য এবং অধিক লাভ দেখে আরও অনেকেই স্কোয়াশ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পার্শ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন ও আসাদ হোসেন এবং ফতেপুর গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলাম বলেছেন সুইটের স্কোয়াশ চাষ দেখে তাঁরাও উৎসাহী হয়ে উঠেছেন। তাঁদের জমিতে স্কোয়াশ চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, তিনি ফতেপুর গ্রামের উক্ত সুইটের জমিতে স্কোয়াশ চাষের কথা তিনি জানেন।

তিনি বলেন নওগাঁর জমির প্রকৃতি ও পরিবেশ জনিত কারণে স্কোয়াশ চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি বিভাগ থেকে উক্ত সুইটকে সর্বাত্মক পরামর্শ সহযোগিতা করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন যারা স্কোয়াশ চাষে এগিয়ে আনবেন তাঁদের কৃষি বিভাগ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

 

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71